[ Ubuntu-BD ] Piracy bangladesh
Raihan Hasnain
raihanhasnain at gmail.com
Fri May 23 23:52:21 BST 2008
পাইরেসি বন্ধ করার জন্য
প্রথমেই যা দরকার, সেটা হল
সচেতনতা - যেটা প্রকৃতপক্ষে
আমাদের কারোর মধ্যে নেই।
সফটওয়্যার পাইরেসি তো অনেক
পরে আসবে, আসলেই অনেক পরে।
আমাদের পড়ার এবং গল্পের বই,
গানের ক্যাসেট্ বা সিডি/
ডিভিডি, মুভি সিডি/ডিভিডি
সবই তো পাইরেটেড। আমাদের
জনগণ তো পাইরেসি কেই
স্বাভাবিক মনে করেন। আসল
জিনিস আর পাইরেটেড জিনিসের
মধ্যে যে একটা তফাৎ আছে এটাই
মানুষ বুঝতে চায় না।
একটা উদাহরণ দেই, আমার একটা
কানাডিয়ান বন্ধু আছে, আমি ৪
বছর আগের কথা বলছি। একদিন
কথা প্রসঙ্গে ও আমাকে বললো
যে ও এই কাজটা করতে পারছে না,
আমি বললাম যে অমুক সাইটে
যাও, ওই সফটওয়্যারটা
ডাউনলোড করো, তাহলেই পারবে।
যদিও সেটা একটা ফ্রীওয়্যার
ছিল, তারপরেও সে আমাকে ১০১
টা প্রশ্ন করলো যে এটা
ব্যবহার করলে কি পাইরেসি
হবে নাকি, এটা ব্যবহার করলে
কি কোন বে-আইনি কাজ করা হবে
নাকি। আজ চার বছর পরেও সে
এরকম প্রশ্ন করে কোন
সফটওয়্যার এর কথা বললেই। যা
বুঝলাম, ওদেরকে ছোট বেলা
থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে
সফটওয়্যার ইচ্ছামতো
ব্যবহার করা যাবে না, কিছু
লাইসেন্স এগ্রিমেন্টের
ব্যাপার আছে। হয়তো স্কুল
এক্ষেত্রে ভাল ভূমিকা
রাখছে। হয়তোবা মিডিয়াগুলোও
কাজ করছে। যে জন্যে গল্পটা
বললাম, দেখলেন তো - সহজেই
পাইরেটেড সফটওয়্যার
ব্যাবহার করার সুযোগ থাকার
পরেও শুধুমাত্র সচেতনতার
জন্যে তা এড়িয়ে চলা যায়।
যেটা প্রথমেই বলছিলাম,
সফটওয়্যার তো পরে আসবে,
বাংলাদেশে অনেক আগে থেকে
অনেক বেশি পরিমানে পাইরেসি
হচ্ছে বই। যারা বই এর মতো
জিনিস পাইরেসি করতে পারে,
তাদের জন্যে সফটওয়্যার তো
কিছুই না (উদাহরন - আমি)।
প্রথম থেকে যদি বইগুলোর
পাইরেসি বন্ধ করা যায়, তাহলে
এমনিতেই অনেক কিছু বন্ধ হয়ে
যাবে। সফটওয়্যার ডেভেলপ
করার জন্যে আমরা যেসব উপকরণ
ব্যবহার করি, তার মধ্যে কি
বই পড়ে না?
আমার তো মনে আছে, আমি সবসময়
অন্তত বই কেনার সময় আসল বই
কেনার চেষ্টা করি। যখন C/C++ বই
কিনতে গেলাম, "বললাম যে
আমাকে অরিজিনাল ইন্ডিয়ান
কপি দেন", তারা বলল যে, নাই।
আমি খুজেও পেলাম না, বাধ্য
হয়ে পাইরেটেড টাই কিনতে হল।
কিছু করার তো নাই।
আইনের সাহায্য অনেক
গুরুত্বপূর্ন পাইরেসি
রোধের ক্ষেত্রে। আমার মনে
আছে, ১৯৯৯ সালের দিকে একবার
মোস্তফা জব্বার সাহেব ঢাকা
সিডি -র মালিককে হাজতে
ভরেছিলেন তার কপিরাইটেড
সফটওয়্যার বিজয় পাইরেসি
করার জন্যে। শুনে খুব খুশি
হয়েছিলাম, কম্পিউটার জগতেও
এটা নিয়ে অনেক হইচই হয়েছিল।
তারপর ঢাকার কোন দোকানেই
বিজয় পাওয়া যায়নি
অনেকদিনের জন্যে। এরকম
ঘটনা আরো অনেকবার হওয়া উচিত
ছিল।
একটা জিনিস আমি পছন্দ করি
না। কিন্তু এখানে সবাই তাই
মনে করেন দেখে বলি না। সেটা
হল, পাইরেসি রোধে লিনাক্স
ব্যবহার কোন বিকল্প নয়।
পাইরেসি রোধে বিকল্প হলো,
পয়সা দিয়ে সফটওয়্যার কেনা।
আমি বলব না যে, উইন্ডোজ
পাইরেসি না করে আসুন
লিনাক্স ব্যবহার করি। আমি
বলব যে যদি উইন্ডোজ ব্যবহার
করতেই হয়, তাহলে পয়সা দিয়ে
কিনুন। লিনাক্স আসলেই "a decision of
choice" - যে কারনেই হোক। আমার
লিনুক্সে আসার কারন ছিল
ফ্রীডম এবং বিনামূল্যে
সফটওয়্যার। অন্যদের অনেক
কারন থাকতেই পারে।
শেষে বলব, আমাদের দেশের বড়
সমস্যা অরিজিনাল সফটওয়্যার
এর দোকানের অভাব,
ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট
কার্ডের সমস্যা এবং অবশ্যই
আর্থিক সমস্যা। আমাদের
অনেকের ইচ্ছা থাকলেও
সফটওয়্যার কিনতে পারেন না।
আমি নিজেই এক-সময়ে cedega কিনতে
চাচ্ছিলাম, কিন্তু সেটা তো
চাইলেও তো আমি পে-মেন্ট করতে
পারবো না। পরে আবিস্কার
করলাম ম্যানড্রিভার নন-
ফ্রি রেপসিটরি তে কোন
পাস্ওয়ার্ড প্রটেকশন নাই
(হিঃ হিঃ) ... সে এক অন্য লাইনের
কাহিনি। আমি নিজেও পাইরেসি
করি। কিন্তু বলতে গেলে শখের
বশেই। আমার পুরাপুরি একটা
লিনাক্স সেটআপ আছে, যেটা
পুরাপুরি লিগাল। একটা
ভিসতা সেটআপ আছে যেটা শুধু
গেম এর জন্যে। আর যেটা সবসময়
ব্যবহার করি, একটা ম্যাক ওএস
এক্স সেটআপ যেটাতে আমি
কমফোর্টেবল। আমি এখন ওএস
এক্স এর লাইসেন্স-এর জন্যে
পয়সে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু
তারা নিতে প্রস্তুত নয়, কারন
আমাদের এখানে দেওয়ার কোন
ব্যবস্থা নাই!
অনেক বেশি কথা বলে ফেললাম।
অনেক ভুল বানানের বাংলাও
বললাম, আমাকে কেউ পারসোনাল
মেইল করে ভুলগুলো ধরিয়ে
দিলে খুশি হবো।
-------------- next part --------------
An HTML attachment was scrubbed...
URL: https://lists.ubuntu.com/archives/ubuntu-bd/attachments/20080524/df63d463/attachment.htm
More information about the ubuntu-bd
mailing list